তোমাকে কতবার দেখেছি
কৈশরের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে
যৌবনের লালসে।
কলতলায় ভেজা স্তন
আবৃত, প্রকট, উদ্ধত।
হাতছানি পশরা নিয়ে আহ্বানে,
অনাবিষ্কৃত বেদনায় আকাঙ্ক্ষার তিখরে।
লাস্য যুবতির কামাতুর আহ্বানে।
প্রোজ্জ্বল তোমার দেহের ঢেউ-এর উদ্ভাসন
নিপীড়িত রন্ধ্র, নিপীড়িত নিম্নমুখী দুঃশাসন।
বিদীর্ণ খরাতপ্ত যৌবন।
সন্ধিক্ষণের আবেষ্টিত ব্রা-ব্রত পার্বণ।
ভাসাতে চায়, ডুবতে চায় নিবিড় বন্ধনে
সামাজিক বেষ্টনী ছেড়ে মহাপ্লাবনে।
স্বপ্ন দেখেছিলাম একমুঠো আকাশ।
তুমি কী দেখতে চাও তার সুমধুর প্রকাশ?
দেখতে চাওনি তার ব্যপ্তি অকুল তিমিরে?
সেখানেই ভোর, সংজ্ঞাহীন, অর্থহীন নিশীথে।
সেখানেই জ্বলে বহ্নি আগামীর শিখা,
তার ঔরসে কী তোমার মায়া-কায়ার কাব্য লিখা?
তোমাকে তো দেখেছি মন ছন্দের আঙিনায়।
পাওয়া বা হারানো সে তো তোমার চেতনায়।
সবই মায়া অভিলসা থেকে স্বার্থের দুনিয়ায়,
তুমিই সত্য অবিচল, এই মোহময় ব্যথায়।
Leave a Reply