যখন পৃথিবী ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর
যখন সবাই নিজ ধান্দায় লুপ্ত।
অনন্ত বিশ্ব ডাক দেয় বারেবারে
সুপ্ত চেতনার নিঃসঙ্গ খেলাঘরে।
সম্পর্কটা কী ধান্দার মহিমায় প্রোজ্জ্বল?
সুপ্ত চেতনার মরীচিকা খুঁজে ফেরে দাবানল।
বনান্ত বীথিকার একাকী নিভৃত কুঞ্জে
একান্ত দীপশিখার নিভৃত শান্ত অন্তে
দিশা খোঁজে অন্তর, উদাস স্বপন
ভালবাসা খোঁজে দেউলিয়া মন
বনাঞ্চলের সবুজের নিরালায়
অনন্ত দিগন্তে বাস্তেবের মুক্ত আঙিনায়।
তোমার-ই স্বপ্নে কাটিয়েছি বহুকাল
নিজ রূপে একাল-সেকাল-ইহকাল-পরকাল
তুমিই পূর্ণতা অবাঞ্ছিত এই জন-সমারোহে।
একান্ত নিভৃতে শোনাই সঙ্গোপনে
স্বপ্নের দেওয়ালি নিরালা বাসরঘরে।
সময় নেই যে কারও আমার কথা শোনার
ধান্দায় উন্মত্ত পৃথ্বী আমি অবাঞ্ছিত কুলাঙ্গার
ওদের শব্দবাণে বিতশ্রদ্ধ
আজকের ধান্দার নিলামি।
‘ভালবাসা’ শব্দ
আজ জীবন্ত বিকিকিনি।
এখনও রাত অনেক অনেক বাকি।
শব্দ, স্পর্শ, বর্ণ এখনও থামেনি কী?
এখনও রাতের মধ্যে জীবন্ত স্বপ্ন প্রহর।
কালেকে নিয়মিত বাস্তবের অবাঞ্ছিত আসর।
আঁকব ফেলে আসা বাসরে হারানো ছবি
আগামী দিনর স্বপ্ন, না দেখা আঁধারে
ফুলের সমারহে মিষ্টি দিনান্তের রবি
একাকী নিভৃতে
কালকের ডুবে যাওয়া সূর্যে
আগামীর যুগ ছবি।
Leave a Reply